এলামনাই এসোসিয়েশন এর ২০২৪ বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ।
গত ২৫-০১-২০২৫ তারিখে ২০২৪-২৫ কার্যনির্বাহী কমিটির ১ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ব্যাচ-২০ এর এলামনাই ও বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড: এ এস এম মোস্তফা আল মামুন।
এরপর এলামনাই এসোসিয়েশন এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও ব্যাচ-৪১ এর এলামনাই ড: মোঃ কবিরুজ্জামান।
এরপর সভায় উপস্থিত এলামনাই সদস্য, শিক্ষকগণসহ সকলকে স্বাগতম জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কমিটির সহ-সভাপতি ব্যাচ-২৪ এর এলামনাই জনাব আবু ইসা মুহাম্মদ মাইনুদ্দিন (মনি)।
এরপর বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড: হাবিবুর রহমান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি এসোসিয়েশনে বর্তমান ও সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের কিভাবে আরও এলামনাই এর সদস্য হবেন সে ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন।
এরপর এলামনাই এসোসিয়েশনের আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ ড: জাভেদ মাহমুদ যিনি ব্যাচ-১৫ এর এলামনাই। আর্থিক বিবরণী সবার বুঝতে সুবিধা হয়েছিল কেননা সভা শুরু হওয়ার আগেই কোষাধ্যক্ষ নিজেই এর কপি আগত এলামনাইগণকে একটি করে বিতরণ করেন। আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ২০২৪ সালে মোট ফান্ড ছিল ২০,৯৭,৫৭৯ টাকা, ব্যায় হয়় ১৮,৬৮,৯৫০ টাকা। বর্তমানে অবশিষ্ট আছে ২,২৮,৬৭৯ টাকা। তিনি সবাইকে আরও অনুদান বাড়ানোর জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
আর্থিক বিবরণীর পর এসোসিয়েশনের বার্ষিক বিবরণী নিয়ে সবার সামনে হাজির হন সাধারণ সম্পাদক, বিভাগের অধ্যাপক ড: জুনায়েবুর রশিদ (ফয়সাল) যিনি ৩৪-ব্যাচের এলামনাই। এই এক বছরে এসোসিয়েশনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে ২১ জন ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, Alumni Association থেকে বিভাগের ১ম বর্ষের (২০২৪-২৫) ছাত্র-ছাত্রীদের Electronic Kit Box প্রদান, একজন অসুস্থ এলামনাইকে ২.৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা, একজন ছাত্রের আগুনে পুড়িয়ে যাওয়া বাড়ি মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান, একজন এলামনাই ও বিভাগের শিক্ষক ও তার গবেষণা দলকে ভারতে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে গবেষণা উপস্থাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদফতরে এসোসিয়েশনের নিবন্ধীকরণ ইত্যাদি তুলে ধরেন। অবশেষে তিনি আরও কিছু পরিকল্পনা যেমন, বিভাগের কোন অ্যালামনাই/ছাত্র/শিক্ষক এর জন্য গবেষণায় বরাদ্দ, বিদেশে বা দেশে বিভিন্ন পেশায় আমাদের এলামনাই এর মধ্যে জোন/ব্যাচ ভিত্তিক গ্রুপ তৈরি করা এবং তাদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা প্রভৃতি তুলে ধরেন।
সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের পরেই প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয় সেখানে আমাদের বিভিন্ন এলামনাই তাদের প্রশ্ন করেন এবং সেগুলোর উত্তর আমাদের এলামনাই এসোসিয়েশনের কমিটি এবং বিভাগের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান প্রদান করেন। আমাদের এলামনাইয়ের মধ্যে জনাব কামাল পাশা (ব্যাচ-0৬) জানতে চান, যারা মারা গেছেন তাদের জন্য আলাদা রেজুলেশন বা ওয়েবসাইটে তাদের তথ্য দেয়া হয় কিনা। জবাবে প্রফেসর জুনায়েবুর রশিদ বলেন, যারা মারা যান তাদের জন্য এসোসিয়েশনের মিটিংয়ে শোক প্রস্তাব নেয়া হয়, তবে ওয়েবসাইটের কাজ চলমান থাকায় ডাটাবেজ আপডেট করা হয় নাই। বিভাগের সাবেক অধ্যাপক রেজাউল করিম মজুমদার নিয়মিত নিউজলেটার প্রকাশনার উপদেশ দেন। ব্যাচ-৪৬ এর এলামনাই জনাব শাক্রুল, বিভাগের আইইবির সদস্য হওয়া, ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরিতে গন্য করা সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে বিভাগের চেয়ারম্যান আইইবির সদস্যপদের জন্য বিভাগের চলমান প্রস্তুতির কথা জানান। এছাড়াও নতুন ব্যাচ ও বিদায়ি ব্যাচের সংবর্ধনা একসাথে দেয়া, এলামনাই সদস্যগ্ণের তালিকা হালনাগাদকরণ নিয়ে, আলোচনা হয়। এরপরে সবার প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম মজুমদার (আরকেএম) স্যারকে অনুরোধ করা হয় কিছু বলার জন্য। তিনি বিভাগে সুদীর্ঘ ৫০ বছরেরও অধিক শিক্ষকতা জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। আগত এলামনাইগণও তাদের প্রিয় শিক্ষকের কথা পিনপন নীরবতার সাথে মনোমুগ্ধ হয়ে শুনেন।
সবশেষে সভার সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট জনাব মাহফুজ আলী সোহেল সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং আবারো সহযোগীতার সর্বোচ্চ চেষ্টার আহবান জানিয়ে সবাইকে পিঠার আপ্যায়নে আমন্ত্রন জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন